জনবান্ধব পুলিশ গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রযুক্তির বিকাশে অপরাধের ধরন পাল্টে যাচ্ছে। তাই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে আরো দক্ষ ও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির বাস্তবতায় অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো এ বছর পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ সমাপনীও অনুষ্ঠিত হলো অনলাইন পরিসরে।
সকালে গণভবন থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৭তম শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানান নবীন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ বছর ১৩ নারীসহ ৯৭ জন এএসপি প্রশিক্ষণ শেষ করে শপথ নেন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, সার্বিক আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গড়তে চায় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশকে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মানুষের ভালোবাসা, আস্থা অর্জন করতে পারলে পুলিশের সংখ্যার প্রয়োজন হবে না। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই দেশের যে কোনো অপরাধ দমন করা যাবে। কাজেই সেভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসনের সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে।
পুলিশের জন্য আলাদা মেডিকেল ইউনিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে অপরাধের ধরন পাল্টেছে, সতর্ক থাকতে হবে কর্মকর্তাদের।
ইন্টারনেটের প্রসারে জনজীবনের শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।